নিজস্ব প্রতিবেদনঃ স্থায়ী আমানতে অনেকেই ভরসা রাখেন। তবে এই ফিক্সড ডিপোজিটে রয়েছে বেশ কিছু অসুবিধা (Risks of FD)। বিনিয়োগের আগে এই সকল বিষয়গুলি জেনে রাখা খুব দরকার। আজকের প্রতিবেদনে একে একে দেখে নিন।
Risks of FD – ফিক্সড ডিপোজিটে বেশ কিছু অসুবিধা
প্রতিটি মানুষ নিজের কষ্ট করে উপার্জন করা টাকা বিনিয়োগের জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান খুঁজে নিতে চান। এ কারণে অনেকেই ভরসা করেন ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসের উপর। ব্যাংক ও পোস্ট অফিস গুলি গ্রাহকদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কিম চালু করে রেখেছে।
এই স্কিম গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম (Risks of FD)। অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য বহু মানুষই বেছে নেন ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমকে। এই স্কিমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় পর মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সুদ সহ মোটা টাকা লাভ করার সুবিধা পান অর্থ বিনিয়োগকারী গ্রাহক। তবে ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসুবিধাও আছে। তাই এই স্কিমে বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই জেনে নিন সেই অসুবিধা গুলি।
১) কম রিটার্ন – অর্থ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল এতে নির্দিষ্ট হারে সুদ দেওয়া হয়। শেয়ার বাজার বা মিউচুয়াল ফান্ডে যেমন অনেক বেশি সুদ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সেই সুযোগ থাকে না। এই কারণেই অন্যান্য বিনিয়োগের অপশন গুলির তুলনায় ফিক্সড ডিপোজিটে কম রিটার্ন পাওয়া যায়।
২) স্থির সুদ – ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করতে গেলে কখনোই সুদের হার বৃদ্ধি পায় না। অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যে পরিমাণে সুদের পাওয়া যায় মেয়াদপূর্তির সময় পর্যন্ত সেই পরিমাণ সুদই দেওয়া হয় গ্রাহকদের।
৩) লক ইন পিরিয়ড- ফিক্সড ডিপোজিটে একটি নির্দিষ্ট লক ইন পিরিয়ড থাকে। অর্থাৎ এই স্কিমে বিনিয়োগ করা মানে টাকা লক হয়ে যাওয়া। কোনো জরুরি পরিস্থিতিতেও এই টাকা আর তুলে নেওয়া যায় না।
৪) টিডিএস- ফিক্সড ডিপোজিট থেকে প্রাপ্ত সুদ করযোগ্য। গ্রাহক এই স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করার মাধ্যমে যে সুদ পাবেন সেই অর্জিত সুদের উপর ট্যাক্স দিতে হবে। এফডি থেকে প্রাপ্ত সুদে আয়কর আইন অনুসারে ‘অন্যান্য উৎস থেকে আয়’ বিভাগে কর চার্জ করা হয়।
৫) লিকুইডিটি- ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা বিনিয়োগ করলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তা লক ইন পিরিয়ডে থাকে। এই টাকা মেয়াদ শেষের আগে প্রিম্যাচিউর অবস্থায় তুলে নিতে চাইলে পেনাল্টি দিতে হয়।
মুল্যস্ফিতি, মূলধন সংক্রান্ত আরও কিছু অসুবিধা দেখুন
৬) মূল্যস্ফীতির হার- যে কোনো আর্থিক বিনিয়োগের রিটার্ন মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যায় অন্য ঘটনা। মুদ্রাস্ফীতির হার ফিক্সড ডিপোজিট সুদের হারের চেয়ে বেশি হলে এই অর্থের মূল্যও হ্রাস পাবে।
৭) মূলধন লাভ- ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমের ক্ষেত্রে গ্রাহকের কোন মূলধন লাভের অপশন নেই।
আরও দেখুন, আয়কর ছাড় পাবার নতুন উপায়! এখুনি দেখে প্রস্তুতি নিন
৮) ব্যাংকের দেউলিয়া অবস্থা- ব্যাংক যদি কোন কারণে দেউলিয়া হয় সে ক্ষেত্রে গ্রাহকের ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট এর উপর সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে প্রভাব পড়তে পারে।
৯) জরিমানা- কোন গ্রাহক যদি অকালে অর্থাৎ মেয়াদ শেষের আগেই ফিক্সড ডিপোজিট প্রত্যাহার করতে চান সে ক্ষেত্রে তাকে জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে।
Written by Joyeeta Mukherjee.
Post Disclaimers
'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন