নিজস্ব প্রতিবেদনঃ খুব শীঘ্রই সারা দেশ জুড়ে শুরু হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। আর সেই কারণেই ব্যবহৃত হবে স্কুল গুলি (School Closed in WB)। একে একে রাজ্যে ঢুকতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের স্কুলগুলি ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে রাজ্যের স্কুল ছুটির কারণে পঠন পাঠনে সামান্য হোক বা ব্যাপক, ক্ষতি যে হচ্ছে, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই।
School Closed in WB for Election
সামনেই আছে লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো ঘোষণা করা না হলেও আশা করা যাচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যেই জানা যাবে ভোটের নির্ঘণ্ট। তবে ইতিমধ্যেই আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। জায়গায় জায়গায় চলছে বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভা। তবে এরই মধ্যে রাজ্যে দেখা গেল অন্য বিপত্তি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার আগেই রাজ্যে আসতে শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল নির্বাচনের সুরক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে রাজ্যে ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। এর মধ্যেই শুক্রবার রাজ্যে এসে পৌঁছে গেছে ১০০ কোম্পানি আধা সেনা। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে যেসব সেনারা আসেন তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল গুলিতে। এবারেও তার অন্যথা হয়নি।
কিন্তু স্কুল গুলিতে তাদের থাকার কারণে (Central Forcce in WB Schools) উত্তর কলকাতার বেথুন সহ আরো একাধিক স্কুলের পঠন-পাঠনে ব্যাঘাত ঘটছে। এই ঘটনায় বেজায় চটেছেন শিক্ষা মন্ত্রীর ব্রাত্য বসু। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি জানিয়েছেন, এভাবে যদি দীর্ঘদিন পঠন পাঠন বন্ধ হয় তবে রাজ্যের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশন কে চিঠি লিখে সমস্ত বিষয়টি জানানো হবে।
জানা গেছে, স্থানীয় থানার তরফ থেকে উত্তর কলকাতার বেথুন স্কুলকে নোটিশ (Notice for Central Force Stay in School) দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার ব্যবস্থা করার কথা জানানো হয়েছে। নোটিশের ফলেই সেই স্কুলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পঠন-পাঠন সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ (School CLosed up to class 8) আছে। নবম এবং দশম শ্রেণীর অর্ধে ক্লাস হচ্ছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসার ফলে শুধুমাত্র শুক্রবার নয়, আগামী দিন গুলিতে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধু বেথুন স্কুলেই নয়, আনন্দপুর, যাদবপুর, মেটিয়াবুরুজ, তিলজলা ইত্যাদি একাধিক স্থানে স্কুল গুলিতেও পড়াশোনার ক্ষেত্রে এই ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু প্রশ্ন তুলেছেন যেহেতু এখনো ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি, তাই এত তাড়াহুড়ো করে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে পঠন-পাঠনের ব্যাঘাত ঘটানোর কি প্রয়োজন।
শুধু কলকাতাতেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই দফায় দফায় আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force in WB)। এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে প্রবেশ করলে কোথায় তারা থাকবে তা রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশন মিলে ঠিক করা উচিত।
তবে কখনোই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য পড়াশোনার ক্ষতি করা উচিত নয়। অন্যদিকে বিজেপির গলায় শোনা গেছে অন্য সুর। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছেন রাজ্যে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার কারণেই এই বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে বাধ্য হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। তবে এই জল্পনার মাঝে ছাত্র ছাত্রীদের পঠন-পাঠনে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেটাই কাম্য।
Written by Joyeeta Mukherjee.
Post Disclaimers
'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন