রাজ্যের কৃষকদের জন্য একটি খুবই উপযোগী প্রকল্প হল কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu)। এই প্রকল্পের দ্বারা রাজ্য সরকার রাজ্যের প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক সহায়তা করে থাকে। তবে গত টার্মের যে সমস্ত কৃষক এই প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন অথচ তাদের আবেদনপত্র বাতিল হয়ে গিয়েছিল সেসব বাতিল আবেদনপত্রগুলিকে ফের খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এমন একটি খবর রাজ্যের চাষীদের মুখের হাসিকে চওড়া করবে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu) নথি ফের যাচাই হবে!
প্রত্যেকটি জেলার কৃষি আধিকারিকেরা যে সমস্ত কৃষকের প্রকল্পের (Krishak Bandhu) আবেদনপত্র বাতিল হয়ে গিয়েছে, তাদের বাড়িতে বাড়িতে যাবেন। সেখানে গিয়ে তাদের আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বার করবেন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে একটি উচ্চ স্তরীয় বৈঠক করেছেন রাজ্যে কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়।
Krishak Bandhu Scheme সংক্রান্ত উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেকটি জেলার কৃষি আধিকারিকগণ। ওই বৈঠকেই কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় আধিকারিকদের বলেন, যে সমস্ত কৃষকদের আবেদন পত্র বাতিল হয়ে গিয়েছে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বাতিল হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে একটি রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিতে হবে।
মন্ত্রী মহাশয় আরো নির্দেশ দেন যে, কোন কৃষকের নথিপত্রে যদি সামান্যত ত্রুটি বিচ্যুতি থেকেও থাকে তাহলে তা কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা যেন সংশোধন করে ওই কৃষককে Krishak Bandhu Scheme- এর সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করে দেন। সেই অনুসারে দপ্তর কাজকে দ্রুততার সাথে চালিত করে। এর সুফল পেতে চলেছেন জনগণ।
প্রয়োজনীয় নথির অভাবঃ-
একজন কৃষকও যাতে এই Krishak Bandhu Scheme- এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন সেই কারণে রাজ্যে কৃষি দপ্তর প্রত্যেকটি আবেদন পত্র বাতিল হওয়ার নির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করার কাজে নেমেছে। কৃষি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কৃষকদের আবেদন পত্র বাতিল হয়েছে প্রয়োজনীয় নথি না দেওয়ার ফলে।
তাই আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন Krishak Bandhu Scheme- এর টাকা পেতে কৃষকদের সেই সব নথি জোগাড় করতে সাহায্য করে। তবে যে সমস্ত কৃষকরা একান্তই এই প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত নয় তাদের কারণ অনুসন্ধান করে একটি তালিকা তৈরি করে জমা দিতে বলা হয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া দুয়ারে সরকার কর্মসূচীর মাধ্যমে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে প্রায় লক্ষাধিক আবেদন পত্র জমা পড়েছিল।
সেগুলিকে যাচাই বাছাই করার পর নতুন করে দেড় লক্ষ কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এবারের সংযুক্তি ধরে প্রায় 94 লক্ষ কৃষককে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবে তার মধ্যে বিভিন্ন কারণের জন্য বহু চাষীর আবেদন পত্র বাতিল হয়ে গিয়েছে। এবারে বেশ গুরুত্ব নিয়েই বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
বিরোধীদের অভিযোগ কেমন!
কৃষক দফতরের এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা চাই, যাতে এক জন কৃষকও তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত না থাকেন। সেই কারণেই পুনর্যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য সামনের পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখেই কৃষকদের নগদ অর্থ এর প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। এই ভাবে তৃণমূল ভোট কিনতে চাইছে।
Post Disclaimers
'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন