নিজস্ব প্রতিবেদনঃ দীপাবলির মরশুমে ডাবল খুশির খবর স্কুল শিক্ষকদের জন্য। সম্প্রতি স্কুল শিক্ষকদের পদন্নোতি তথা Teacher Promotion বিষয়ে আলোচনা এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের তোড়জোড় চলছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারি দপ্তরের তরফে আলোচনা হয়েছে। তবে এর মধ্যেই বিকাশ ভবনে ১৪ দফা প্রস্তাব পাঠনো হয়েছে। এই দাবী মেনে নিলে অনেকটাই সুবিধা মিলবে স্কুল শিক্ষকদের, এমনটাই দাবী সংগঠনের।
WB ABTA Claims Proposals for Teacher Promotion
রাজ্যের শিক্ষকদের পদন্নোতির বিষয়ে আলোচনা চলছে বিস্তর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতো স্কুল শিক্ষকদের পদন্নোতির চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে নয়া শিক্ষা নীতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে। এক দিকে শিক্ষক নিয়োগ আর অন্যদিকে শিক্ষকদের পদন্নোতি উভয় কাজেই গতি আনতে তৎপর রাজ্য।
কিন্তু এই পদন্নোতির (Teacher Promotion) সিদ্ধান্তে কেবলমাত্র লাভবান হতে পারেন সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিবেচনা থেকে বাদ যেতে পারেন প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। সম্প্রতি সবদিক বিবেচনা করে ১৪ দফা বক্তব্য-সহ একটি রিপোর্ট বিকাশ ভবনের কাছে জমা করল নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি (এবিটিএ)।
এই রিপোর্টে শিক্ষকদের ডিএ বৃদ্ধির দাবি-সহ পদন্নোতির সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি (এবিটিএ)-এর তরফে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে,সেখানে দাবি জানানো হয়েছে যে কেবল শিক্ষকরা নন, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক, গ্রন্থাগারিক, কারিগরি শিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের পদন্নোতির বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। আর এই কাজের জন্য প্রয়োজনে একটি নীতি প্রণয়নের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে ডিএ ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্যের পরিস্থিতি।
ABTA -এর তরফ থেকে শিক্ষকদের আরও বেশ কিছু দাবী
বকেয়া ডিএ (DA)-এর দাবিতে ক্রমাগত লড়ে চলেছেন রাজ্যের শিক্ষক মহল। আদালতে মামলা চলার পাশাপাশি পথে চলছে বিক্ষোভ। বিকাশ ভবনে পৌছনো এবিটিএ-এর বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে শিক্ষকদের বকেয়া ডিএ (DA) দ্রুত মেটানোর বন্দোবস্ত করুক রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, রাজ্যের নয়া শিক্ষানীতিতে শিক্ষকদের পদন্নোতির জন্য নানান দিক বিবেচনা করা হচ্ছে। তাঁদের প্রমোশনের বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য গঠন করা হয়েছে ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। শীঘ্রই এই কমিটি রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে রাজ্য সরকারের কাছে।
আরও পড়ুন, 1 লক্ষ 20 হাজার শিক্ষক নিয়োগ এই রাজ্যে, মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই নিয়োগপত্র!
জানা যাচ্ছে, শিক্ষকদের কাজের ভিত্তিতে তাঁদের পদন্নোতি হবে। আবার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্কুল শিক্ষকদের প্রমোশনে বদলাবে ধরণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন ‘অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটরের’ মাধ্যমে প্রমোশন হয় স্কুলেও লাগু হতে পারে তেমনই নিয়ম। আবার, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর, প্রফেসর ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরদ পদে পদোন্নতি হয়, তেমনই স্কুলেও সেই ধাঁচে প্রমোশন পেতে পারেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। তবে গোটা বিষয়টি আপাতত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতি শীঘ্রই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন রাজ্যের শিক্ষকেরা।
Written by Joyeeta Mukherjee.
Post Disclaimers
'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন