বন্ধ বাংলা আবাস যোজনা সার্ভে: নতুন সমীক্ষার ঘোষণা!

বন্ধ বাংলা আবাস যোজনা সার্ভে! কি জানা গেলো জানুন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গরীব ও প্রান্তিক মানুষদের জন্য নতুন পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন, যেখানে কেন্দ্র থেকে আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় রাজ্য সরকার নিজ উদ্যোগে এই সহায়তা প্রদান করবে। আগামী ডিসেম্বর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে এই সমীক্ষা চালু হবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো গরীব এবং প্রান্তিক জনগণের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করা।

এই প্রকল্পের অধীনে গরীব ও প্রান্তিক মানুষদের জন্য পাকা বাড়ি তৈরি করা হবে, কিন্তু কারা এই ঘর পাওয়ার যোগ্য হবেন, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। তালিকা প্রস্তুত করার সময় কোনো ভুল যাতে না হয়, সেজন্য সরকার বিশেষভাবে সতর্ক। যাচাই প্রক্রিয়া যাতে সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্যই সরকার ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিছু নির্বাচনী এলাকা বাদ দিয়ে সারা রাজ্যে এই সমীক্ষা চালানো হচ্ছে।

বন্ধ বাংলা আবাস যোজনা সার্ভে

এই সমীক্ষার প্রথম ধাপে ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ বাড়ির যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ি অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অর্থাৎ, প্রথম দুই দিনে যাচাই হওয়া ২ লক্ষ বাড়ির মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার পরিবারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। কিন্তু কেন এই নামগুলো বাদ যাচ্ছে? তারও কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে।

এই প্রকল্পের যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য মোট ১১টি শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এই শর্তগুলি অনুসারে, নিম্নলিখিত শর্তগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি পূরণ না করলে সেই পরিবার এই প্রকল্পের জন্য অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
শর্তসমূহযোগ্যতার শর্ত
১. উপভোক্তার নিজের পাকা বাড়ি আছে কিনা?পাকা বাড়ি থাকলে অযোগ্য
২. নিজের কোন মোটরচালিত তিন/চার চাকার গাড়ি আছে কিনা?গাড়ি থাকলে অযোগ্য
৩. তিন চাকা/ চার চাকার কোনো কৃষিজ সরঞ্জাম আছে কিনা?থাকলে অযোগ্য
৪. পরিবারের কোনো সদস্য সরকারি চাকরি করেন কিনা?সরকারি চাকরি থাকলে অযোগ্য
৫. পরিবারের সদস্যের আয় ১৫,০০০ টাকার বেশি কিনা?বেশি আয় হলে অযোগ্য
৬. আয়কর প্রদান করা হয় কিনা?আয়কর প্রদানকারীরা অযোগ্য
৭. উপভোক্তার ২.৫ একর বা তার বেশি সেচযোগ্য জমি আছে কিনা?বেশি জমি থাকলে অযোগ্য
৮. ৫ একর বা তার বেশি সেচবিহীন জমি রয়েছে কিনা?জমি বেশি হলে অযোগ্য
৯. কোনো সদস্য আগের আবাসিক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন কিনা?আগে সুবিধা পেলে অযোগ্য

কেন Bangla Awas Yojana থেকে নাম বাদ যাচ্ছে ?

২০২২ সালে হওয়া সমীক্ষায় প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ এই আবাস যোজনার অন্তর্ভুক্ত হন এবং পাকা বাড়ির যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হন। তবে দুই বছরের মধ্যে অনেকের অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে। কেউ ইতিমধ্যে নিজের বাড়ি তৈরি করে নিয়েছেন, আবার কেউ অন্যত্র চলে গেছেন। এছাড়া কেন্দ্রের নতুন নিয়মাবলীর কারণে অনেকের নাম বাদ যাচ্ছে। পরিবারের কারোর আয় যদি ১৫,০০০ টাকার বেশি হয়, তবে তারা এই প্রকল্পের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

সরকার Awas Yojana নিয়ে কী বলছে ?

পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই গরীবদের জন্য এই বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে সহায়তা না পাওয়ায়, তিনি নিজেই রাজ্যের প্রান্তিক মানুষদের জন্য পাকা ঘর তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, প্রকৃত উপভোক্তারা যাতে এই সহায়তা পান, সেজন্য যাচাই প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

উপনির্বাচনের জন্য কিছু এলাকায় আবাস যোজনা যাচাই প্রক্রিয়া বিলম্ব

উপনির্বাচনের কারণে কিছু এলাকায় এই যাচাই প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে। তবে রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চলে এই সমীক্ষা চলমান রয়েছে। যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ সমীক্ষায় প্রায় ৩৪ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। সেই সময়ে বেশ কিছু মানুষ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সেলে আবেদন করেছিলেন, যাদের ঘর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এই তালিকাটিও এখন যাচাই করা হচ্ছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

শেষ পর্যন্ত আবাস যোজনা সার্ভের কী হবে ?

এই যাচাই প্রক্রিয়া ৩০ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে। তারপর রাজ্য সরকার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে। এই তালিকায় স্পষ্টভাবে দেখা যাবে কারা কারা এই ঘর পেতে যাচ্ছেন।

এই সমীক্ষা রাজ্য সরকারের একটি বড় পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে সরকার রাজ্যের প্রান্তিক গরীব মানুষদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই উদ্যোগের পিছনে রয়েছেন, এবং তিনি চান প্রকৃত সুবিধাভোগীরা যেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা পান।

রাজ্য সরকার যেভাবে গরীব মানুষদের মাথার উপর একটি পাকা ছাদের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করছে, তাতে বোঝা যায় যে রাজ্য সামাজিক উন্নতির দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এই প্রকল্প সফল হলে, প্রান্তিক ও গরীব মানুষদের অনেক সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে গরীবদের পাশে দাঁড়িয়ে নতুন উদাহরণ তৈরি করছে।

Post Disclaimers

'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)

আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন

*ফেসবুক পেজ - Join Here
*হোয়াটস্যাপ চ্যানেল - Follow Us
*টেলিগ্রাম চ্যানেল - Join Here
*কু অ্যাপ - Like Us
*ট্যুইটার - Follow Us

হ্যালো প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমরা একটি দল হিসেবে কঠোর পরিশ্রম করছি আপনাদের জন্য শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে বিশ্বাসযোগ্য এবং মূল্যবান কন্টেন্ট সরবরাহ করতে। আমরা শিক্ষা, সরকারি স্কিম, সরকারি কর্মচারী, প্রযুক্তি, টেলিকম, দৈনিক আপডেট, আর্থিক বিষয়, ব্যবসার ধারণা, বৃত্তি ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। প্রতিটি ব্লগ পোস্টের জন্য একটি মূল্যবান মন্তব্য করতে ভুলবেন না। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। কোনো প্রয়োজনে আমাদের wspbengal@gmail.com ঠিকানায় লিখুন।

Home
চ্যানেল
জয়েন গ্রুপ
ফলো পেজ
নিউজ
চ্যানেল