রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: জীবনী, রচনা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর জীবন ও কর্ম নিয়ে এই লেখায় তার জন্ম, বাল্য জীবন, পরিবার পরিচিতি, পড়াশোনা, সাহিত্যিক সফলতা, শ্রেষ্ঠ বই, উপাধি প্রাপ্তি, শ্রেষ্ঠ কাজ, বিবাহ, শেষ জীবন এবং পদবী পরিবর্তনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। ঠাকুর পরিবারের কুশারী থেকে ঠাকুর হয়ে ওঠার পেছনের গল্প ও সমাজে তাদের অবদানও বর্ণিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের কবিতা, গান, ছোট গল্প, উপন্যাস, প্রেমের কবিতা, নাটক এবং বইয়ের তালিকাও এই লেখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা তার সৃষ্টির বৈচিত্র্য ও গভীরতা প্রকাশ করে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: জীবনী ও কর্ম

জন্ম ও বাল্য জীবন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ই মে কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। তার পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা সারদা দেবী। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাদের চতুর্দশ সন্তান। তার জন্ম এমন এক সময়ে হয় যখন ভারতবর্ষে বৃটিশ শাসনের বিরোধিতা ও সামাজিক সংস্কার আন্দোলন তুঙ্গে। বাল্যকালে তিনি ঘরে বসেই প্রাথমিক শিক্ষালাভ করেন। তার শিক্ষার শুরু হয় পারিবারিক পরিবেশে, যেখানে সাহিত্য, সঙ্গীত ও চিত্রকলার প্রতি তার অনুরাগ গড়ে ওঠে।

পরিবার পরিচিতি

রবীন্দ্রনাথের পরিবার ছিল বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ঠাকুর পরিবারের সদস্যরা সংস্কৃতিচর্চা ও সমাজসেবায় নিবেদিত ছিলেন। তার পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ছিলেন একজন বিখ্যাত দার্শনিক ও সমাজ সংস্কারক। তার বড় ভাই জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও চিত্রশিল্পী। ঠাকুর পরিবারের এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল।

পড়াশোনা

রবীন্দ্রনাথের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল বেশ সীমিত। প্রথমে তিনি কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে ভর্তি হন, কিন্তু স্কুলের নিয়ম-কানুন তার পছন্দ না হওয়ায় সেখানে বেশিদিন থাকতে পারেননি। পরে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলেও কিছুদিন পড়েন। ১৮৭৮ সালে ইংল্যান্ডে গিয়ে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন। কিন্তু আইন পড়ার চেয়ে সাহিত্যের প্রতি তার অনুরাগ বেশি হওয়ায় সে পাঠ অসম্পূর্ণ রেখেই দেশে ফিরে আসেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সাহিত্যিক সফলতা

রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক জীবন শুরু হয় অল্প বয়সেই। মাত্র আট বছর বয়সে তার লেখা কবিতা প্রকাশিত হয়। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবি কাহিনী’ প্রকাশিত হয় ১৮৭৮ সালে। এরপর থেকে তিনি নিয়মিতভাবে কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক প্রভৃতি রচনা করে বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেন। তার লেখা গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক মহৎ গৌরব।

শ্রেষ্ঠ বই

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘গীতাঞ্জলি’, ‘ঘরে বাইরে’, ‘গোরা’, ‘রক্তকরবী’, ‘চোখের বালি’, ‘গীতিমাল্য’ প্রভৃতি। ‘গীতাঞ্জলি’ তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি ঈশ্বরের প্রতি নিবেদিত প্রেম ও ভক্তির প্রতিচ্ছবি। ‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাসে তিনি সমকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করেন। ‘গোরা’ উপন্যাসে জাতিগত ও ধর্মীয় সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে তার বক্তব্য সুস্পষ্ট।

উপাধি প্রাপ্তি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনে বহু উপাধি ও পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। বৃটিশ সরকার তাকে ১৯১৫ সালে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করে। তবে ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি এই উপাধি ত্যাগ করেন। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

শ্রেষ্ঠ কাজ

রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ কাজগুলির মধ্যে অন্যতম হল শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা। ১৯০১ সালে তিনি বোলপুরে একটি আশ্রম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। এখানে তিনি শিক্ষার্থীদের মুক্ত পরিবেশে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেন। শান্তিনিকেতন শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বিবাহ

১৮৮৩ সালে রবীন্দ্রনাথ বিয়ে করেন মৃণালিনী দেবীকে। তাদের সংসারে পাঁচটি সন্তান হয়। রবীন্দ্রনাথ তার স্ত্রীকে অত্যন্ত ভালবাসতেন এবং তার জীবনের অনেক প্রেরণা তার স্ত্রী ও পরিবারের থেকে লাভ করেন।

শেষ জীবন

রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবন ছিল নানা দুঃখ-কষ্টে ভরা। তিনি বহু প্রিয়জনের মৃত্যু দেখতে পান। তার স্ত্রী মৃণালিনী দেবী, পুত্র শমীন্দ্রনাথ, কন্যা মাধুরীলতা ও রেণুকার মৃত্যু তাকে গভীরভাবে আঘাত করে। তবুও তিনি তার সাহিত্যকর্ম অব্যাহত রাখেন। জীবনের শেষ পর্বে তিনি চিত্রকলার প্রতি আগ্রহী হন এবং বহু ছবি আঁকেন।

১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম ও চিন্তাধারা আজও বাঙালির মননে প্রেরণা যোগায়। তার সৃষ্টি শুধু বাংলা নয়, বিশ্বের সাহিত্যেও অমূল্য সম্পদ হিসেবে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।

বিশেষ তথ্য

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: ঠাকুর পরিবারে পদবীর পরিবর্তনের ইতিহাস

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারে জন্মের কথা জানেন অনেকেই, কিন্তু কম লোকই জানেন যে তাদের আসল পদবী ছিল না ‘ঠাকুর’। আসলে ঠাকুর বংশের প্রকৃত পদবী ছিল ‘কুশারী’। এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে এক চমকপ্রদ এবং বেদনাদায়ক ইতিহাস।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ঠাকুর বংশের কুশারী থেকে ঠাকুর হয়ে ওঠার গল্প আমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় অনেক বছর আগে, যখন সমাজের ধর্মীয় গঞ্জনা ও অপমান সহ্য করে বছরের পর বছর দরিদ্র মানুষের সেবা করতেন কুশারী বংশের লোকেরা। সুন্দরবন অঞ্চলের চার ব্রাহ্মণ জমিদার ভাই রতিদেব কুশারী, কামদেব কুশারী, শুকদেব কুশারী এবং জয়দেব কুশারী একবার এক বিশেষ মাংসের গন্ধ শোঁকার অপরাধে সমাজে কলঙ্কিত হন। এই সমাজচ্যুত হওয়ার পর তাদের বংশধরেরা, বিশেষ করে জগন্নাথ কুশারীর পরিবার, পরবর্তী সময়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত করেন।

জগন্নাথ কুশারীর দুই পুত্র, মহেশ্বর এবং শুকদেব, গোবিন্দপুরে দরিদ্র মানুষের সেবা ও দান-ধ্যানে নিজেকে নিয়োজিত করেন। এর ফলে সেখানকার মানুষ তাদেরকে ‘ঠাকুর’ বা দেবতা রূপে সম্মানিত করতে শুরু করেন। প্রথমে শুকদেব এই ‘ঠাকুর’ পদবী গ্রহণ করেন এবং পরে তার ভাই মহেশ্বরের ছেলে পঞ্চাননও তাকে অনুসরণ করে এই পদবী গ্রহণ করেন।

মাস্টারদা সূর্য সেন এর সংক্ষিপ্ত জীবনী ও রচনা

পরে এই বংশের নীলমণি নামে এক বংশধর জোড়াবাগানের বিখ্যাত ধনী ব্যবসায়ী বৈষ্ণবচরণ শেঠের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠেন। বৈষ্ণবচরণ শেঠ নীলমণিকে জোড়াসাঁকোতে দেড় বিঘা জমি উপহার দেন এবং চান যাতে নীলমণি সেখানেই বাড়ি তৈরি করে থাকেন। এভাবেই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামকীর্তি এবং সৃষ্টির আলোয় উদ্ভাসিত হয়।

এই পদবী পরিবর্তনের ঘটনা কেবল একটি নাম পরিবর্তনের নয়, বরং এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি। ঠাকুর বংশের এই পরিবর্তন তাদের জীবনধারা ও সমাজের প্রতি তাদের অবদানের এক অনন্য উদাহরণ।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা

কবিতা

  • গীতাঞ্জলি
  • গীতিমাল্য
  • সোনার তরী
  • বলাকা
  • চিত্রা

গান

  • আমার সোনার বাংলা
  • একলা চলো রে
  • জন গণ মন
  • আগুনের পরশমণি
  • পুরানো সেই দিনের কথা

ছোট গল্প

  • কাবুলিওয়ালা
  • হংসরাজা
  • শুভদা
  • দেনা পাওনা
  • ছুটি

উপন্যাস

  • ঘরে বাইরে
  • গোরা
  • চোখের বালি
  • চতুরঙ্গ
  • নৌকাডুবি

প্রেমের কবিতা

  • বিরহ
  • নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ
  • শেষের কবিতা
  • আমার এ গান
  • তুমি রবে নীরবে

নাটক

  • ডাকঘর
  • রক্তকরবী
  • বিসর্জন
  • অচলায়তন
  • মুক্তধারা

বই

  • সাহিত্যিক রচনা সমগ্র
  • গীতাঞ্জলি
  • গোরা
  • ঘরে বাইরে
  • রবীন্দ্র রচনাবলী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: বিভিন্ন রচনা ও তথ্য তালিকা

বিভাগশিরোনাম
কবিতাগীতাঞ্জলি, গীতিমাল্য, সোনার তরী, বলাকা, চিত্রা
গানআমার সোনার বাংলা, একলা চলো রে, জন গণ মন, আগুনের পরশমণি, পুরানো সেই দিনের কথা
ছোট গল্পকাবুলিওয়ালা, হংসরাজা, শুভদা, দেনা পাওনা, ছুটি
উপন্যাসঘরে বাইরে, গোরা, চোখের বালি, চতুরঙ্গ, নৌকাডুবি
প্রেমের কবিতাবিরহ, নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ, শেষের কবিতা, আমার এ গান, তুমি রবে নীরবে
নাটকডাকঘর, রক্তকরবী, বিসর্জন, অচলায়তন, মুক্তধারা
বইসাহিত্যিক রচনা সমগ্র, গীতাঞ্জলি, গোরা, ঘরে বাইরে, রবীন্দ্র রচনাবলী

উপসংহার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও কর্ম বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতির অমূল্য রত্ন। তার জন্ম ও বাল্যকাল থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সীমাবদ্ধতা, পরিবারিক সংস্কৃতিচর্চা, সাহিত্যিক সফলতা এবং বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠার প্রতিটি ধাপ আমাদের প্রেরণা জোগায়। ঠাকুর বংশের পদবী পরিবর্তনের ইতিহাসও সমাজে তাদের অবদান ও সংগ্রামের প্রমাণ বহন করে। রবীন্দ্রনাথের কবিতা, গান, ছোট গল্প, উপন্যাস, প্রেমের কবিতা, নাটক এবং অন্যান্য রচনার মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা করেন। তার সৃষ্টিকর্ম শুধু বাংলায় নয়, সারা বিশ্বে সমাদৃত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শ ও চিন্তাধারা আজও আমাদের মননে প্রভাবিত করে, আমাদের সৃজনশীলতাকে অনুপ্রাণিত করে। তার জীবন ও কর্ম থেকে আমাদের শিখতে হবে মানুষের সেবা, সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ও সৃষ্টিশীলতার মূল্য।

Post Disclaimers

'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)

আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন

*ফেসবুক পেজ - Join Here
*হোয়াটস্যাপ চ্যানেল - Follow Us
*টেলিগ্রাম চ্যানেল - Join Here
*কু অ্যাপ - Like Us
*ট্যুইটার - Follow Us

হ্যালো প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমরা একটি দল হিসেবে কঠোর পরিশ্রম করছি আপনাদের জন্য শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে বিশ্বাসযোগ্য এবং মূল্যবান কন্টেন্ট সরবরাহ করতে। আমরা শিক্ষা, সরকারি স্কিম, সরকারি কর্মচারী, প্রযুক্তি, টেলিকম, দৈনিক আপডেট, আর্থিক বিষয়, ব্যবসার ধারণা, বৃত্তি ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। প্রতিটি ব্লগ পোস্টের জন্য একটি মূল্যবান মন্তব্য করতে ভুলবেন না। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। কোনো প্রয়োজনে আমাদের wspbengal@gmail.com ঠিকানায় লিখুন।

Leave a Comment

Home
চ্যানেল
জয়েন গ্রুপ
ফলো পেজ
নিউজ
চ্যানেল