নমস্কার বন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আজ আমরা গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য শেয়ার করবো, যা অনেকেই জানতে আগ্রহী রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম কত এবং কোন কোন ব্র্যান্ডের ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া যায়। কুকুর বা বিড়ালের আঁচড় বা কামড় থেকে যে জলাতঙ্ক বা রেবিস রোগ হয়, তা থেকে বাঁচতে রেবিস ভ্যাকসিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। জলাতঙ্ক একটি প্রাণঘাতী রোগ, তাই এ রোগ প্রতিরোধে মানুষ রেবিস ভ্যাকসিন ব্যবহার করে থাকে।
অনেকেই রেবিস ভ্যাকসিনের দাম এবং কোন কোন ব্র্যান্ডের ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন না। এজন্য আমরা এখানে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরছি, যাতে আপনারা সহজেই রেবিস ভ্যাকসিনের বর্তমান দাম এবং অন্যান্য বিবরণ সম্পর্কে জানতে পারেন।
রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম কত
নিচে আমরা বাংলাদেশে পাওয়া বিভিন্ন রেবিস ভ্যাকসিনের দাম, ডোজ ফর্ম এবং শক্তি সম্পর্কে একটি তালিকা প্রদান করেছি।
ব্র্যান্ডের নাম | ডোজ ফর্ম | শক্তি | প্রস্তুতকারী কোম্পানি | দাম (টাকা) |
---|---|---|---|---|
রাবিভ্যাক্স | IM/SC ইনজেকশন | 2.5 IU/ml | পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লি. | ৫০০.০০ |
রাবিক্স-ভিসি | IM/SC ইনজেকশন | 2.5 IU/ml | এন্টারপ্রাইজ ফার্মাসিউটিক্যালস লি. | ৫০০.০০ |
ভেরোরাব | IM/SC ইনজেকশন | 2.5 IU/ml | ফার্মা পিএলসির ছেলেরা | ৯৯৮.০০ |
IM/SC এর অর্থ হলো ইনট্রামাসকুলার (পেশির মধ্যে) অথবা সাবকিউটেনিয়াস (ত্বকের নিচে) ইনজেকশন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিটি ভ্যাকসিনে 2.5 IU/ml পরিমাণ সক্রিয় উপাদান থাকে যা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে
কুকুর ও বিড়ালের আঁচড় বা কামড় থেকে জলাতঙ্ক রোগ সংক্রমিত হতে পারে। যদি কারও শরীরে আঁচড় বা কামড় লাগে, তবে দ্রুত রেবিস ভ্যাকসিন গ্রহণ করা আবশ্যক। কারণ জলাতঙ্কের জন্য এখনও কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেই একমাত্র এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুযায়ী, জলাতঙ্ক একটি ভয়ানক রোগ, যা প্রায় নিশ্চিত মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সুতরাং, আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শে রেবিস ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম
বাংলাদেশে রেবিস ভ্যাকসিনের দাম কোম্পানি এবং বাজার চাহিদার উপর নির্ভর করে। তবে, সাধারণত প্রতি ডোজের মূল্য ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে থাকে। বাজারে পাওয়া তিনটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলো রাবিভ্যাক্স, রাবিক্স-ভিসি এবং ভেরোরাব। এগুলির মূল্য সারণি আকারে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
রেবিস ভ্যাকসিনের দাম বিভিন্ন কারণে পরিবর্তন হতে পারে, যেমন:
- সরবরাহ ও চাহিদা: ভ্যাকসিনের চাহিদা বেশি থাকলে এর দাম বাড়তে পারে।
- কোম্পানি ও ব্র্যান্ডের উপর নির্ভরশীলতা: বিভিন্ন কোম্পানি নিজস্ব প্রস্তুতি ও পদ্ধতির ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করে।
- আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি: আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্য এবং সরবরাহ ব্যবস্থা পরিবর্তন হলে ভ্যাকসিনের দামেও প্রভাব পড়ে।
রেবিস ভ্যাকসিন কেনার সময় করণীয়
রেবিস ভ্যাকসিন কেনার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি:
- নির্ভরযোগ্য ফার্মেসি থেকে কিনুন: নিশ্চিত করুন যে ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কিনছেন তা সঠিক এবং নিবন্ধিত।
- এক্সপায়ারি ডেট চেক করুন: ভ্যাকসিনের মেয়াদ নিশ্চিত করুন, যাতে অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত ভ্যাকসিন ব্যবহার না হয়।
- ডাক্তারের পরামর্শ নিন: ভ্যাকসিনের ডোজ ও প্রকার ঠিক করার জন্য সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কীভাবে রেবিস থেকে নিরাপদ থাকবেন
রেবিস থেকে নিরাপদ থাকতে কিছু সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন:
- কুকুর ও বিড়াল থেকে দূরে থাকুন বিশেষত যদি তারা অপরিচিত হয়।
- গৃহপালিত পশুদের ভ্যাকসিন দিন যাতে তারা রেবিস মুক্ত থাকে।
- আঘাত পেলে তৎক্ষণাৎ জল দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
আমাদের Whatsupbengal সাইটে নিয়মিত আপডেট
বন্ধুরা, আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন রেবিস ভ্যাকসিনের আপডেট সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়। আপনারা চাইলে আজকের বাজার দর প্রতিদিনের আপডেট পেতে পারেন। নতুন আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন।
আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন এবং নোটিফিকেশন অন করে নিতে পারেন, যাতে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সরাসরি আপনার কাছে পৌঁছায়। আমরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে এসব আপডেট নিয়মিত শেয়ার করে থাকি। তাই আপনাদেরও যোগ দিতে অনুরোধ করছি।
বাংলাদেশে রেবিস বা জলাতঙ্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচিত। প্রাণী কামড়ের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায় এবং প্রায়শই কুকুর বা বন্য প্রাণী থেকে সংক্রমণ ঘটে। জলাতঙ্ক আক্রান্ত রোগীর জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না করালে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই রেবিস ভ্যাকসিন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এখানে রেবিস ভ্যাকসিন সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা পাঠকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াবে এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।
রেবিস ভ্যাকসিন কতবার নিতে হয়
রেবিস ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ডোজের সংখ্যা নির্ভর করে আক্রান্ত ব্যক্তি কি ধরনের ঝুঁকিতে আছে তার উপর। যারা সাধারণভাবে এই ভ্যাকসিন নিচ্ছেন, তাদের জন্য প্রাথমিকভাবে তিনটি ডোজ প্রয়োজন। তবে, যদি কেউ কোনো জলাতঙ্ক আক্রান্ত পশুর কামড়ের শিকার হয়, তখন জরুরি ভিত্তিতে ৫টি ডোজ নিতে হতে পারে। প্রথম ডোজটি তৎক্ষণাৎ দেওয়া হয় এবং পরবর্তী ডোজগুলো নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নিতে হয়। ডোজগুলো সাধারণত তৃতীয়, সপ্তম, চতুর্দশ এবং আটাশতম দিনে দেওয়া হয়। এর ফলে শরীর যথাযথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।
রেবিস ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অনেকেই রেবিস ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন। কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও, এগুলি সাধারণত ক্ষণস্থায়ী। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ইনজেকশনের স্থানে ব্যথা, লালচে হওয়া, হালকা জ্বর ইত্যাদি হতে পারে। তবে, এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যায় এবং গুরুতর কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না। যদি কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
রেবিস ভ্যাকসিন সাধারণত যারা ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় কাজ করেন তাদের জন্য অপরিহার্য। যেমন, পশু চিকিৎসক, প্রাণী উদ্ধারকর্মী, পশু আশ্রয় কেন্দ্রে কাজ করা ব্যক্তি এবং অন্যান্য প্রাণী সম্পর্কিত কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা রেবিস ভ্যাকসিনের জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়া, যদি কেউ জলাতঙ্ক আক্রান্ত কোনো পশুর কামড়ের শিকার হন, তাহলে দ্রুত রেবিস ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি। এতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
রেবিস ভ্যাকসিন বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ সহজলভ্য। বেশিরভাগ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। প্রয়োজন হলে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ক্লিনিকে গিয়ে এই ভ্যাকসিন নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া কিছু বেসরকারি ফার্মেসিতেও রেবিস ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। তবে, কোথায় এবং কখন ভ্যাকসিন নেওয়া দরকার তা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া উচিত।
রেবিস ভ্যাকসিন শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই নয়, শিশুদের জন্যও নিরাপদ। শিশুদের শরীরে এই ভ্যাকসিন নিরাপদভাবে কাজ করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে, শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ এবং ডোজের সময় নির্ধারণ করা উচিত। এটি নিশ্চিত করবে যে শিশুরা নিরাপদে সঠিক প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করছে।
রেবিস ভ্যাকসিন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের জন্য কার্যকর থাকে, তবে এটি আজীবন সুরক্ষা দেয় না। ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তি যেমন পশু চিকিৎসক বা প্রাণী উদ্ধারকর্মীদের প্রতি কয়েক বছর পরপর বুস্টার ডোজ নিতে হয়। এই বুস্টার ডোজ মূল ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বজায় রাখে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
রেবিস ভ্যাকসিনের দাম
রেবিস ভ্যাকসিনের দাম সাধারণত হাসপাতাল বা ক্লিনিক অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া হতে পারে। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রেবিস ভ্যাকসিনের দাম নির্ধারণ করা হয় এবং এটি বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে। তাই, জরুরি অবস্থায় প্রথমে নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিষয় | তথ্য |
---|---|
ডোজ সংখ্যা | ৩ থেকে ৫টি (আক্রান্তের ঝুঁকি অনুযায়ী) |
কোথায় পাওয়া যায় | সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক |
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া | ইনজেকশনের স্থানে ব্যথা, লালচে হওয়া, হালকা জ্বর |
ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির জন্য | পশু চিকিৎসক, প্রাণী উদ্ধারকর্মী |
শিশুদের জন্য | নিরাপদ, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন |
দাম | সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বা কমমূল্যে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দাম নির্ভরশীল |
শেষ কথা
বন্ধুরা, রেবিস ভ্যাকসিন নিয়ে এই তথ্যগুলো পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক রোগ, এবং সময়মতো সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। যদি আপনারা রেবিস ভ্যাকসিন সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ চান, তবে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন। সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন এবং আরো তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
বাংলাদেশে রেবিস ভ্যাকসিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য প্রতিরোধক ব্যবস্থা। জলাতঙ্ক রোগ থেকে মুক্ত থাকতে দ্রুত এবং সঠিকভাবে এই ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি। আজকের এই পোস্টে আমরা রেবিস ভ্যাকসিনের দাম এবং এ বিষয়ে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করেছি। আশা করছি, আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
Post Disclaimers
'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন