নিজস্ব প্রতিবেদনঃ আয়কর রিটার্ন ফাইল (Income Tax Savings) করার আগে বেশ কিছু বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকা খুবই জরুরী। ইনকাম ট্যাক্স ছাড় পেতে বিনিয়োগ করা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে এই বিনিয়োগ কোথায় করলে ছাড় পাওয়া যাবে সর্বাধিক, এই সকল বিষয়ে জেনে নেয়া যাক আজকের এই প্রতিবেদনে।
Invest for Income Tax Savings
আর্থিক বছরের ভিত্তিতে ৩১ মার্চ তারিখটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। এই দিন একটি অর্থবর্ষের সমাপ্তি ঘটে ১ এপ্রিল থেকে নতুন একটি অর্থবর্ষের শুরু হয়। ফলে ৩১ মার্চ থেকেই আর্থিক বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার প্রয়াস করা হয়। অন্যদিকে আয়কর রিটার্নের (Income Tax Savings) শেষ তারিখ হলো এই ৩১ মার্চ।
এই সময়কালের মধ্যেই বিভিন্ন আয়কর পরিকল্পনার মাধ্যমে করের হার কমানো এবং আরো সঞ্চয় করা সম্ভব হয়। হিসাব অনুসারে ২০২৩- ২৪ অর্থবছর শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ ২০২৪ তারিখে। যারা কর সঞ্চয়মূলক বিনিয়োগ করতে চান তাদের জন্য এই সময়কালটি একেবারে আদর্শ। তবে ট্যাক্স সেভিংস বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। এই টিপস গুলি মেনে না চললে বিনিয়োগ সম্পর্কিত বিষয় বিভিন্ন ধরনের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সেগুলি হলো-
১) আয়কর অনুমান- কর সঞ্চয়মূলক বিনিয়োগ গুলি করার আগে করদাতাদের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল করের হার অনুমান করা। EPF, হোম লোনের সুদ সহ আসল অর্থ পরিশোধ, বেতন প্যাকেজের মধ্যে এনপিএস, দীর্ঘ মেয়াদি বিমা পরিকল্পনা এবং এইচআরএ কাটার মতো বিষয় গুলি সংযুক্ত থাকে। এই সমস্ত বিষয়গুলি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে মেনে চললে অতিরিক্ত বা কম বিনিয়োগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
২) আয়কর ব্যবস্থা- আয়কর ব্যবস্থা মূলত পুরনো এবং নতুন এই দুটি পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। অর্থ বিনিয়োগকারী ব্যক্তির অবশ্যই উচিত নিজের আর্থিক সক্ষমতা অনুসারে একটি অপশন বেছে নেওয়া। ট্যাক্স ব্যবস্থাকে বুঝে নেওয়ার জন্য অর্থ বিনিয়োগকারীর অবশ্যই উচিত পুরনো এবং নতুন উভয় কর আইনের মাধ্যমেই নিজের কর গণনা করা এবং সবশেষে সর্বনিম্ন ট্যাক্সের হার সিলেক্ট করা। ইউনিয়ন বাজেট ২০২৩ এ নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থা ডিফল্ট বিকল্পে পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই উভয় ট্যাক্স ব্যবস্থার পরিবর্তন হলে বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৩) দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পদ্ধতি- কর সঞ্চয় বিনিয়োগ করতে হলে অর্থ বিনিয়োগকারী ব্যক্তির অবশ্যই ছোট ছোট অর্থ বিনিয়োগ এর পরিবর্তে একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেমন রিটার্ন ভালো পাওয়া যায় ঠিক তেমনি কর সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪) কর সাশ্রয়- আয়কর আইনের বিভিন্ন ধারার অধীনে করযোগ্য অর্থ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী মাধ্যমে বিনিয়োগ করে কর কাটার পরিমাণ হ্রাস করা সম্ভব। এগুলি মূলত ELSS, NPS, ULIPs, VPF, PPF ইত্যাদি আয়কর আইনের ধারা ৮০সি কাটার জন্য যোগ্য। এগুলি মূলত ছোট সঞ্চয় প্রকল্প গুলিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। এছাড়াও এনপিএস বিনিয়োগের জন্য ধারা 80CCD (1B) এবং HRA মুক্ত ভাড়ায় বসবাসকারী ব্যক্তিদের জন্য ধারা 80GG কর সঞ্চয়ের বিশেষ সুযোগ দিয়ে থাকে।
আরও দেখুন, Flipkart লঞ্চ করল নতুন UPI! এবার চাপে পড়তে চলেছে গুগল পে, ফোন পে!
৫) সঠিক পরিকল্পনা নির্বাচন এবং সচেতন বিনিয়োগ- অথবা বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে এবং সেই সঙ্গে কর সঞ্চয় এর সুবিধা পেতে সঠিক পরিকল্পনা নির্বাচনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিট ইত্যাদি স্কিমে অর্থ বিনিয়োগের উপর সহজেই রিটার্ন পাওয়া সম্ভব হয়। আবার ELSS এবং ULIP এর মত বিনিয়োগ করতে গেলে অবশ্যই যাচাই করে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এই কারনেই বিনিয়োগ করার সময় অবশ্যই সঠিক পরিকল্পনা নির্বাচন করে নেওয়া প্রয়োজন।
Written by Joyeeta Mukherjee
Kolkata.
Post Disclaimers
'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন