বাড়িতে নগদে Cash Limit কত টাকা রাখা নিরাপদ। না, চোর বা ডাকাতের হাত থেকে রেহাই পেতে নয়। বরং নিয়ম মেনে সরকারের Income Tax Department থেকে নোটিস না পেতে হলে নিজের কাছে কত পরিমাণে ক্যাশ টাকা রাখা নিরাপদ! জেনে রাখাওবশ্যই দরকার। অনলাইনে লেনদেনের পরিমাণ আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেলেও এখনো দেশের বহু মানুষ নগদেই লেনদেন করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ। সেক্ষেত্রে পকেটে মজুদ রাখতে হয় নগদ অর্থ (Cash Limit).
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ডিজিটাল ভারত উদ্যোগ নেওয়ার পর সাম্প্রতিক সময়ে মানুষ ডিজিটাল ট্রানজেকশন এর প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। দেশের ছোট থেকে ছোট শহর প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলিতেও মানুষ এখন অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে অনলাইন মাধ্যমের প্রতি ঝুকছে। যদিও তার শ্রেয় কিছুটা প্রাপ্য, মহামারীর এর জন্য লাঘু হওয়া বৈশ্বিক মহামারী। তবুও এখনো অনেক মানুষই আছেন যারা নগদেই লেনদেন করে থাকেন বিশেষত ছোট ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মহলের লোকজন বেশিরভাগ সময়ে নগদেই লেনদেন করে থাকেন।
রান্নার গ্যাস এর দাম কমে গেল ৩০০ টাকা! ফের মোদী সরকারের নতুন ঘোষণা, উজ্জ্বলা যোজনায় মিলছে সুবিধা।
তবে তার জন্য বাড়িতে নগদ অর্থ মজুদ করে রাখতে হয়। কিন্তু আয়কর বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী বাড়িতে নগদ Cash Limit এর একটা সর্বোচ্চ সীমা আছে তাই নগদে লেনদেন এবং বাড়িতে নগদ অর্থ মজুদ রাখতে হলে বেশ কিছু বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরী। তাই এই ব্যাপারে আইন কি বলছে বাড়িতে কত টাকা সর্বোচ্চ মজুদ করে রাখা যায় সেই সম্পর্কে অবিবাহল থাকা উচিত। আজকের প্রতিবেদনে সেই বিষয়ে খানিকটা আলোকপাত করার চেষ্টা করা হলো।
বাড়িতে Cash Limit কত রাখা নিরাপদঃ-
আসলে দেশের আয়কর বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী বাড়িতে নগদ অর্থ মজুদের কোন ঊর্ধ্বসীমা উল্লেখ করা নেই। তবে যদি আয়কর বিভাগ বাড়িতে হানা দেয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আয়কর আধিকারিকদের তাদের কার্যসম্পাদনের জন্য সাহায্য করতে বাধ্য থাকবে। সেই সাথে বাড়িতে মজুদ অর্থের সমস্ত হিসাব আয়কর বিভাগকে দিতে হবে। অর্থাৎ বাড়িতে মজুদ অর্থের উৎস ব্যাংক রশিদ বা অন্যান্য লেনদেনের প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
তবে আয়কর বিভাগ তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় প্রাপ্ত অর্থের হিসাব দেখাতে না পারলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আর্থিক জরিমানা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এমনটি কারা ভোগ করতে হতে পারে। মূলত উদ্ধার হওয়া নগদ অর্থের উৎস বা হিসাব দেখাতে না পারলে আয়কর বিভাগ মোট অর্থের উপর 137 শতাংশ জরিমানা করতে পারে।
তবে শুধু জরিমানায় নয় তার সাথে সাথে উক্ত অর্থ আয়কর দপ্তর দ্বারা বাজেয়াপ্ত করা হয় হবে এবং অর্থের পরিমাণ বিপুল হলে তদন্তের মুখে পড়তে হতে পারে। সেই সাথে থানা পুলিশ, কারাভোগ তো আছেই। তাই বিপুল পরিমাণে অর্থ বাড়িতে জমিয়ে না রেখে তা ব্যাঙ্ক বা ওই জাতীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে বুদ্ধিমানের কাজ। তবে এর সাথে সাথে আয়কর আইনের আরও কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরী।
কোন ব্যক্তি একবারে 20 হাজার টাকার বেশি ঋণ বা ডিপোজিট হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন না। একই নিয়ম 20 হাজার টাকা মূল্যের সম্পত্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এছাড়া একজন ব্যক্তি সারা বছরে 20 লক্ষ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করলে ওই ব্যক্তিকে আয়কর দপ্তরের তদন্তের মুখে পড়তে হতে পারে। সেক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে জেল এবং জরিমানা দুই ই হতে পারে। এর পাশাপাশি কোন ব্যক্তি ব্যাংক থেকে 50 হাজার টাকা তুলতে বা জমা দিতে গেলে প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক। Cash Limit সংক্রান্ত আরও নানা ধরণের আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। সকলে সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
Post Disclaimers
'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন