নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ডিজিটাল বিপ্লব! ভারতে চালু হতে চলেছে ই-সিম কার্ডের সুবিধা! Jio, Airtel এবং VI এবারে চালু করছে ই-সিম কার্ড। তবে কোন মোবাইলে আর কী কী ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন এই E-Sim Card, সেই বিষয়েই আজকের এই আলোচনা।
এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিও, ভোডাফোনের মতো টেলিকম সংস্থাগুলি বাজারে আনছে ই-সিমকার্ড। এই সিম কার্ড ব্যবহার সহজ ও মিলবে বাড়তি সুবিধা। ই-সিম সম্পর্কিত খুঁটিনাটি তথ্যগুলি জেনে নেওয়া যাক। ক্রমশ ডিজিটাল হচ্ছে ভারতবর্ষ। প্রযুক্তিগত উন্নতিতে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে দেশ। মোবাইল ফোন থেকে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন ও চাহিদা উভয়েই উর্ধ্বমুখী। আট থেকে আশি এখন সকলের হাতেই স্মার্টফোন। আর স্মার্টফোনের ডেটা কানেক্টিভিটির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সিম কার্ড।
এতদিন পর্যন্ত এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিও, ভোডাফোনের মতো অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডারের ফিজিক্যাল সিম চালু ছিল বাজারে। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার ই-সিমকার্ড চালু করতে চলেছে এই কোম্পানিগুলি। ই-সিমের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সিমকার্ড ইন্সটল না করেই টেলিকম পরিষেবা ব্যবহারের বিকল্প পাচ্ছেন নাগরিকরা। কোনও প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সহজ পদ্ধতিতে এই সিম চালু করা সম্ভব। সিম বন্ধ করার পদ্ধতিও জটিল নয়। সবমিলিয়ে মনে করা হচ্ছে এই ই-সিমকার্ড ডিজিটাল জগতে বিপ্লব আনবে। এই প্রতিবেদনে ই-সিম নিয়ে বিস্তারিত বলা হল। কিভাবে ব্যবহার করবেন এটি? দেখে নিন একনজরে।
ই-সিম কার্ড বলতে বোঝায়, eSIM হল ইন্ডাস্ট্রি-স্ট্যান্ডার্ড ডিজিটাল সিম যা কোনো ফিজিক্যাল সিম ব্যবহার না করেই আপনার নেটওয়ার্ক প্রদানকারীর থেকে একটি মোবাইল প্ল্যান সক্রিয় করার সুবিধা দেয়। আইফোনে আট বা তার বেশি ই-সিম ইনস্টল করতে পারেন এবং একই সময়ে দুটি ফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে বারবার সিম বদলের প্রয়োজন হয় না।
ই-সিম ব্যবহার করবেন কিভাবে?
১) স্মার্টফোনে ই-সিম চালুর জন্য প্রথমেই জানতে হবে আপনার ফোন ই-সিম ব্যবহারের উপযুক্ত কিনা অথবা আপনার ফোনে ই-সিমকার্ড ব্যবহার করা যাবে কিনা।
২) এরপর সরাসরি টেলিকম অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে ব্যবহারকারীকে। যেহেতু ইতোমধ্যে এয়ারটেল, জিও, ভোডাফোনের মতো সার্ভিস প্রোভাইডাররা বাজারে ই-সিম হাজির করেছে, সেহেতু আপনার ফিজিক্যাল সিম-কে ই-সিমের সঙ্গে বদলে নিতে পারবেন।
৩) টেলিকম অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আপনার ফোনে ই-সিমের প্রসিডিওর তাঁরাই বলে দেবেন। ধাপে ধাপে স্টেপগুলি ফলো করলেই ফোনে চালু হয়ে যাবে অত্যাধুনিক ই-সিমকার্ড।
ই-সিমকার্ড (E-Sim Card) ব্যবহারের সুবিধা
১) ই-সিমকার্ড অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অংশ। তাই এটি ব্যবহার করা অত্যন্ত সুবিধাজনক।
২) ই-সিম হলো একটি ভার্চুয়াল সফটওয়্যারের অংশ। তাই ফোন হারিয়ে গেলে তা খুঁজে পেতে সাহায্য করে এটি।
৩) বর্তমানে মোবাইল ফোনের সঙ্গে স্মার্টওয়াচ ও অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস সংযোগ করা হয়। ই-সিমকার্ড সবকটি ডিভাইসের সঙ্গেই আন্তঃসম্পর্কে যুক্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন, মোবাইল থেকে টাকা পাঠাতে লাগবে না পিন নাম্বার আর ইন্টারনেট!
সেক্ষেত্রে সবকটি ডিভাইসেই টেলিকম পরিষেবা মিলবে। তবে এর একটি অসুবিধা হতে পারে তাদের জন্য যারা একই সিম কার্ড বিভিন্ন মোবাইলে ব্যবহার করে থাকেন। সেক্ষেত্রে তথাকথিত ছোট ফোনে এই সুবিধা না থাকায় বেশ সমস্যার সম্মুখীন হবেন তারা। কারণ এই ই-সিম কার্ডের অ্যাক্টিভেশন পদ্ধতি বেশ জটিল। ধন্যবাদ।
Written by Joy Halder.
Post Disclaimers
'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন