নিজস্ব প্রতিবেদনঃ Higher Secondary Test Exam, দীর্ঘ ১১ বছর পর রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিকে আসতে চলেছে বিরাট বদল! বন্ধ হচ্ছে দ্বাদশ শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষা। আনা হচ্ছে বিরাট বদল। নতুন পদ্ধতি আনার ফলে কতটা লাভবান হতে চলেছেন এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা, তাই নিয়েই আজকের এই শিক্ষা সংক্রান্ত ব্লগ।
No Test Exam in Higher Secondary
আর দিতে হবে না দ্বাদশ শ্রেণীর (WBCHSE) টেস্ট পরীক্ষা। টিচিং লার্নিং এর মাধ্যমেই জ্ঞান লাভ করতে পারবেন পড়ুয়ারা। শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষা অর্থাৎ মাধ্যমিক সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি পর্ব।
তবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসতে চলেছে নানা পরিবর্তন। এর আগেই পশ্চিমবঙ্গের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর সেমিস্টার পদ্ধতির পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেছে। এবার উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে বদলাতে চলেছে আরো একটি নিয়ম। এবার থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পর্বতের আর দিতে হবে না টেস্ট পরীক্ষা।
এতদিন পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার যে নিয়ম ছিল তাতে প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে একটি টেস্ট পরীক্ষা দিতে হতো এবং সেই টেস্ট পরীক্ষায় ভালো ভাবে উত্তীর্ণ হতে হতো। তবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বদলাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পদ্ধতি। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে মোট চারটি সেমিস্টারের পরীক্ষা দেবেন ছাত্র ছাত্রীরা। সিলেবাসের ক্ষেত্রেও আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে আসছে নানা পরিবর্তন। ইতিমধ্যে কাউন্সিল সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও দিয়েছে।
টিচিং লার্নিং এর মাধ্যমেই জ্ঞান লাভ
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিলের ঘোষণা করা নতুন নিয়ম অনুসারে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা টিচিং লার্নিং পদ্ধতিতে মোট চারটি সেমিস্টারের পরীক্ষা দেবেন। তাই তাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে আলাদা ভাবে আগের মত আর টেস্ট পরীক্ষা দিতে হবে না। কাউন্সিলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সমস্ত বিষয়গুলিতে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা হয় না অর্থাৎ ২০ নম্বরের প্রজেক্ট ও ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে তাদের দুটি সেমিস্টারের ৪০ নম্বর করে পরীক্ষা নেয়া হবে।
আর যেসব বিষয়গুলি ৩০ নম্বরের প্রাকটিক্যাল ও ৭০ নম্বরে লিখিত পরীক্ষা হয় তাদের দুটি সেমিস্টারে ৩৫ নম্বর করে পরীক্ষা দিতে হবে। যদিও প্র্যাকটিক্যাল বা প্রজেক্ট দুটি সেমিস্টারে দুবার হবে না। প্রাকটিক্যাল বা প্রজেক্ট একবারই নেওয়া হবে। সংসদের নিয়ম অনুসারে শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ভিত্তিক পড়াশোনার জন্য মোট ২০০ ঘন্টা সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথম সেমিস্টার এ থাকবে ১০০ ঘন্টা এবং দ্বিতীয় সেমিস্টার ৮০ ঘন্টা। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় সেমিস্টারে থাকবে রেমিডিয়াল, টিউটোরিয়াল ক্লাস ও হোম অ্যাসাইনমেন্ট ক্লাসের জন্য ধার্য করা ২০ ঘন্টা। নতুন এই পরীক্ষা পদ্ধতির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলাতে পরীক্ষার সিলেবাসে এসেছে নানা পরিবর্তন।
উচ্চ মাধ্যমিকে যুক্ত হল নয়া বিষয়, ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল! জানতে দেখুন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI প্রযুক্তিও যুক্ত হয়েছে সিলেবাসে। কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী একাদশ শ্রেণীতে সংশ্লিষ্ট স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠন এবং পরীক্ষা পদ্ধতির দিকে নজর রাখবে। একাদশ শ্রেণীর ফলাফলের ভিত্তিতেই দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনার বিশেষ সুযোগ পাবে ছাত্র ছাত্রীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দ্বাদশ শ্রেণীর দুটি সেমিস্টারই হবে বোর্ড পরীক্ষা। কাউন্সিলে নির্ধারণ করে দেওয়া প্রশ্নপত্রই পরীক্ষা দিতে হবে দুটি সেমিস্টারে।
Written by Joyeeta Mukherjee.
Post Disclaimers
'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন