LPG Gas Dealership নেওয়া এখন আরও সহজ, অল্প টাকাতে ব্যবসার দারুণ সুযোগ। বর্তমানে চাকরির যা অবস্থা তাতে করে কম-বেশি অনেকে ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। তবে এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি সঠিক ব্যবসায় ভালো টাকা উপার্জন করতে চান তার জন্য রয়েছে গ্যাস এজেন্সি বা ডিলারশিপের (Gas Dealership) ব্যবসা। বর্তমানে যে হারে এলপিজি গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে তাতে করে কোনো ব্যক্তি যদি এই ব্যবসা শুরু করে তাহলে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বড় বড় সরকারি কোম্পানিগুলি এই ডিলারশিপ অফার করছে। তাই চলুন এই গ্যাস এজেন্সি বা ডিলারশিপ বিষয়টি ঠিক কি? একটু বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কোন কোন সংস্থা এই ডিলারশিপ (Gas Dealership) অফার করে?
জানা গিয়েছে ইন্ডেন গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ দিয়ে থাকে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড। এর পাশাপাশি ভারত পেট্রোলিয়ামের ভারত গ্যাস এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ এইচপি অফার করা হয়। এছাড়াও জানা গিয়েছে বর্তমানে গো গ্যাস সংস্থা ডিলারশিপ প্রদান করছে।
তবে এই ডিলারশিপ চার ধরনের হয়। যার মধ্যে গ্রাম, শহর ও অন্যান্য অঞ্চলের জন্য আবেদন করা যায়। তবে এজেন্সির লাইসেন্স অনুযায়ী যে ধরনের লাইসেন্স পাবে সেই অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। তবে এই লাইসেন্স পাওয়ার আগে ফিল্ড ভেরিফিকেশন হয়। যে ব্যক্তি লাইসেন্স পাবেন তার নথিগুলি কোম্পানির আধিকারিক দ্বারা যাচাই করা হয়।
কিভাবে আবেদন করতে হয়?
গ্যাস এজেন্সি বা গ্যাস ডিলারশিপ (Gas Dealership) নেওয়ার জন্য অনলাইনে বা অফলাইনে আবেদন করা যেতে পারে। সরকারি কোম্পানিগুলি এজেন্সি চালু করার জন্য সংবাদপত্রে এবং তাদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই ওয়েবসাইটে গিয়েই ব্যক্তিদের নাম রেজিস্টার করতে হয়। তারপর প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়ে আবেদন পূরণ করতে হয়। আবেদনের পর সেই কোম্পানি তরফে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। এই ইন্টারভিউয়ের পরই তাদের নির্বাচন করা হয়।
তবে এক্ষেত্রে কোম্পানিকে যাচাইয়ের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এরপরে কোম্পানি তদন্তের প্রক্রিয়া শেষ করে আবেদনকারীকে একটি উদ্দেশ্য পত্র জারি করবে। তারপরে আবেদনকারী যে সংস্থার এজেন্সি বা ডিলারশিপ নিতে চাইবে তার জন্য টাকা জমা করতে হবে। আর তারপরেই সেই ব্যক্তির নামে গ্যাস এজেন্সি দেওয়া হবে।
গ্যাস এজেন্সি বা ডিলারশিপ (Gas Dealership) নেওয়ার জন্য যোগ্যতা?
প্রথমত গ্যাস এজেন্সি বা ডিলারশিপ (Gas Dealership) নেওয়ার জন্য আবেদনকারীকে ভারতের নাগরিক হতে হবে। এছাড়াও সেই ব্যক্তির কাছে এজেন্সি খোলার জন্য প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা থাকতে হবে। যা এলপিজি সিলিন্ডারের গোডাউন এবং অফিস তৈরি করার জন্য খরচ করা হবে।
এছাড়াও সেই আবেদনকারীর পরিবারের কোনো সদস্যর সেই কোম্পানিতে চাকরি করা যাবে না। যদি করে তাহলে আবেদনকারী সেই কোম্পানির এজেন্সি নিতে পারবে না। অন্যদিকে, শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে আবেদনকারীরকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করা থাকতে হবে। বয়স থাকতে হবে ২১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
এলপিজির ব্যবসায় ভবিষ্যৎ কী?
চাহিদা হ্রাসের অর্থ হল জ্বালানী স্টেশনগুলির জন্য কম রাজস্ব এবং এলপিজি মজুদ করার জন্য বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও প্রণোদনা নেই৷ এটা প্রত্যাশিত যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এলপিজি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে কারণ জ্বালানী স্টেশন মালিকরা ইভি চার্জিং পয়েন্টে বিনিয়োগ করবে।
গ্যাস এজেন্সি ডিলারশিপে আয় কত?
যেহেতু ডিস্ট্রিবিউশন মার্জিন প্রতি সিলিন্ডারে 44 টাকা, এটি প্রতি মাসে 7. 3 মিলিয়ন টাকা আয় দিতে সক্ষম। একজন গড় ডিস্ট্রিবিউটর যিনি প্রতি মাসে 6-8 হাজার LPG সিলিন্ডার বিক্রি করেন, তিনি খরচ গণনা করার পরেও প্রতি মাসে 1 লাখের বেশি লাভ করতে পারবেন।
Post Disclaimers
'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন