PPF তথা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড এর কথা তো বিনিয়োগকারীদের কাছে খুবই পরিচিত একটি শব্দ। তবে জানেন কী, যে এই প্রভিডেন্ট ফান্ড এর একাউন্ট করা সম্ভব নিজের সন্তানের নামেও! হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনছেন। এখন থেকে এই একাউন্টে বিনিয়োগ করতে শুরু করলে সন্তানের ১৮ বছর বয়সে মিলবে ৩২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সেরা রিটার্ন। চলুন তবে আজকের প্রতিবেদনে এই বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
PPF Investment
সরকারি একাউন্ট করে নিজের সন্তানের নামে আর্থিক বিনিয়োগ করতে দেখুন PPF Investment. এখানে সুদের হার থেকে শুরু করে কীভাবে করা যাবে একাউন্ট, তার সমস্ত আপডেট জেনে নেয়া যাক। যে হারে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য থেকে শুরু করে জীবনযাত্রা পরিচালনার খরচ, তাতে এখন থেকে যদি বিনিয়োগ শুরু করা না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে বিরাট আকারের এক সমস্যা অপেক্ষা করে থাকবে। এর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে এই ধরণের আর্থিক বিনিয়োগ বেশ কাজের। এতে সন্তানের ভবিষ্যতে পড়াশোনা থেকে বিবাহ, সমস্ত ক্ষেত্রেই মিলবে সুরক্ষা।
সঠিক লাভ পেতে গেলে PPF Investment -এর বিষয়ে জানা খুবই জরুরী। আপনাকে নিজের সন্তানের নামে খুলতে হবে একটি PPF Account. সেক্ষেত্রে আপনি এই একাউন্ট খুলতে পারবেন যেকোনো ব্যাঙ্কে বা Post Office -এ। আপনি যদি প্রতি মাসেই কিছু না কিছু পরিমাণ টাকা জমানোকে একটি নেশাতে পরিণত কোর্টে পারেন, তাহলে একটা সময় আপনি নিজেকে অনেক বাহবা দেবেন নিশ্চয়ই। কারণ, আজকের সঞ্চয় দেবে আপনাকে আগামীর সুরক্ষা।
কীভাবে খুলবেন PPF Account
এই PPF একাউন্ট কীভাবে খুলবেন আর লাগবে কোন কোন কাগজ, সেই বিষয় গুলি একে একে জেনে নেয়া যাক। সব থেকে ভালো বিষয় যা হয়তো অনেকে জানেনই না, যে এই একাউন্ট ওপেন করতে গেলে কোন বয়স জনিত বাধ্যবাধকতা নেই। অর্থাৎ যেকোনো বয়সেই খোলা যাবে এই একাউন্ট। ইচ্ছা থাকলেই আপনি একটি PPF Account খুলে নিতে পারেন।
এর জন্য আপনাকে একটি Authorized Branch -এ যোগাযোগ করতে হবে। এরপর আপনাকে Form 1 -নামক একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। তবে কোথায় করবেন এই একাউন্ট! এর জন্য আপনি নিজের বাড়ির কাছাকাছি ব্যাঙ্কে বা পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। এতে আপনার ভবিষ্যতে এই একাউন্ট অপারেট করতে সুবিধা হবে।
যা যা ডকুমেন্ট দরকার
এই একাউন্ট ওপেন করতে গেলে যে সমস্ত Document দরকার হবে সেগুলি হল – প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার আই ডি, পাসপোর্ট, ড্রাভিং লাইসেন্স এর যেকোন নথি। তবে মাইনরদের ক্ষেত্রে জন্ম প্রমাণপত্র দাখিল করতেই হবে। এর সাথে সাথে জমা করতে হবে পাসপোর্ট সাইজের ছবি। শুরু করার সময়ে আপনাকে মাত্র ৫০০ টাকা জমা করতে হবে। তবে এর বেশি টাকা দিয়েও আপনি Initial Deposit করতে পারেন। এটি আপনি যত বেশি করতে পারবেন, আপনার তত বেশি লাভ।
এই ধরণের কাজ হয়ে যাবার পর আপনাকে একটি তারা একটি Passbook দিয়ে দেবেন। এর সাহায্যে আপনি সরাসরি এই একাউন্টের জমা এবং ইন্টারেস্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। তবে ৩২ লক্ষ টাকা আপনি বা আপনার সন্তান কীভাবে পেতে পারেন, তার হিসেব জেনে নেয়া যাক।
একটি PPF একাউন্ট থেকে পেতে পারেন ৩২ লক্ষ টাকা। এর জন্য ধরা যাক, আপনার সন্তানের বয়স মাত্র ৩ বছর। এই সময় থেকেই আপনি ইনভেস্ট করতে শুরু করলেন। আপনার শিশুর বয়স যখন ১৮ বছর সম্পন্ন হয়ে যাবে, তখন এই একাউন্ট ম্যাচিউর হয়ে যাবে। তাহলে আপনার এই টাকা ১৫ বছরের জন্য খাটবে। এবারে আপনি যদি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে জমা করতে শুরু করেন, তাহলে পেয়ে যাবেন এই সুবিধা।
এবারে আপনাকে আগামী ১৫ বছরের জন্য প্রতি মাসে এই পরিমাণ টাকা জমা করে যেতে হবে। মাসিক সুদের হার হিসেবে মেলে ৭.১ শতাংশ। এবারে এই হারে ম্যাচিউরিটি এর সময়ে মিলবে ৩২ লক্ষ টাকার থেকেও কিছুটা বেশি। সেই সময়ে সন্তানের পড়াশোনা থেকে শুরু করে অন্যান্য খাতে করা যাবে এই খরচ। এমন আরও আপডেট পেতে আমাদের পরবর্তী প্রতিবেদনে নজর রাখুন।
তাহলে আর বেশি দেরী না করে নিজের সন্তানের নামে খুলে ফেলুন একটি PPF একাউন্ট আর নিয়ে নিন আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার প্রথম পদক্ষেপ। আর্থিক বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, LIC, জীবন বীমা সংক্রান্ত নানা আপডেট জেনে রাখা দরকার। কারণ সঠিক সময়ে সঠিক জায়গাতে আর্থিক বিনিয়োগ করা না শুরু করতে পারলে অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়তে হবে অনেকটাই। সকলে সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
Post Disclaimers
'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন