নিজস্ব প্রতিবেদনঃ কেন্দ্রের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের মধ্যে এই প্রকল্প (Atal Pension) সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে দিয়েছে। আপনিও কী শুনেছে এমন ধরণের কোন প্রকল্পের কথা! না শুনলেও অসুবিধা নেই। কারণ আজ এই প্রতিবেদনে কেন্দ্রের এই পেনশন প্রকল্প নিয়েই আলোচনা করা হবে।
Atal Pension Scheme for monthly fixed income
পেনশন শব্দটি প্রধানত চাকরিজীবীদের সাথেই ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের এই পেনশন প্রকল্পের (Atal Pension) লাভ ওঠাতে পারবেন যেকেউ। কী, অবাক হলেন! একদম অবাক হবার কিছু নেই। কারণ এবার থেকে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে চালু করা এই প্রকল্পের লাভ ওঠাতে পারবেন সাধারণ মানুষেরাও। চলুন তবে এই সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
Benefits of APY Scheme
এই অটল পেনশন যোজনায় বিনিয়োগ করলে সুবিধাভোগী ৬০ বছর ব্যসের পর থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেনশন পেতে থাকবেন আজীবন। যতটা পরিমাণ পেনশন নিতে চান, তাঁকে প্রথমে তা পছন্দ করে নিতে হবে এবং সেই অনুসারে বিনিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে ১০০০, ২০০০, ৩০০০, ৪০০০ এবং ৫০০০ টাকা বেঁছে নেবার অপশন থাকবে।
Rules for APY
(১) বিনিয়োগকারীকে অবশ্যই ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে।
(২) এরপর নিজের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত বিনিয়োগ করে যেতে হবে।
(৩) ব্যাঙ্কের থেকে অটো- ডেবিট হয়ে যাবে।
(৪) এই বিনিয়োগ অবশ্যই ৮০ সিসিডি অনুসারে আয়কর মুক্ত থাকবে।
APY Scheme Details – দেখুন
এই অটল পেনশন প্রকল্প সম্পর্কে আরও একটি সুযোগ রয়েছে যা শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ শুরু করার পরে আপনি নিজের পেনশন প্ল্যান আপগ্রেড বা ডাউনগ্রেড করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে মাত্র ২৫ টাকা চার্জ দিতে হবে। নিচের প্ল্যানে এলে আপনাকে পিএফআরডিএ (PFRDA) বাকি টাকা আপনার একাউন্টে পাঠিয়ে দেবে। তবে এই কাজ আপনি বছরে একবারই করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনি নিজেই বিনিয়োগ করছেন না। এক্ষেত্রে সরকারও আপনাকে আপনার একাউন্টে আর্থিক বিনিয়োগ করে থাকে। সেক্ষেত্রে নিয়মানুসারে, কোন বিনিয়োগকারী এক বছরে যে অর্থ বিনিয়োগ করেন, সেই অর্থের ৫০% টাকা অথবা ১০০০ টাকা (যেটি সর্বনিম্ন) বিনিয়োগ করে থাকে। সরকার চায় যে, সবাই নিজেদের ভবিষ্যতের আর্থিক সুরক্ষার দিকে বিশেষ নজর দিতে শুরু করুক।
অটল পেনশন যোজনা (Atal Pension) কী একটি ভালো বিনিয়োগের পথ! এই প্রশ্নের আলোচনা করতে গিয়ে বলা যায় যে, এই বিষয় জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। একটি হিসেব করলে দেখা যায়, কোন ব্যাক্তি তাঁর সারা জীবনে (৬০ বছর বয়স পর্যন্ত) যত টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, সেট টাকা তাঁর ৬০ বছর বয়সের পরে মোটামুটি ২৪ মাসের মধ্যেই ফেরৎ পেয়ে যান। সাধারণ মানুষের জন্য এই প্রকল্প বেশ লাভজনক। ভবিষ্যতের আর্থিক সুরক্ষা তৈরিতে দারুণ কার্যকরী একটি প্রকল্প।
বিনিয়োগের চার্ট দেখতে ক্লিক করুন এখানেই।
এই বিষয়ে যেকোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আপনি নিচের ২টি নাম্বারে কল করে নিতে পারেন। এগুলি টোল ফ্রি নাম্বার।
=> ১৮০০ ২২২ ০৮০
=> ১৮০০ ১১০ ৭০৮
আরও পড়ুন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর! আরও সুবিধা পাবেন মহিলারা
কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা ভালো।
* এতে বিনিয়োগ করলে আয়করে ছাড় পাওয়া যাবে।
** ভারতে বসবাসকারী, ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী, ইনকাম ট্যাক্সের আওতায় না পড়লে তিনি নিবেশ করতে পারবেন।
*** একটি ব্যাঙ্ক একাউন্ট লাগবে, যেখান থেকে অটো ডেবিট হয়ে যাবে।
**** ৬০ বছর সম্পূর্ণ হবার পরের মাস থেকেই তিনি পেনশন পেতে থাকবেন।
অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিদের বার্ধক্য আয় সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ৯ মে ২০১৫ -এ প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। একজন গ্রাহক ৬০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে ১ হাজার থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত একটি ন্যূনতম গ্যারান্টিযুক্ত পেনশন পাবেন। তাদের অবদানের উপর নির্ভর করে, যা APY-তে যোগদানের বয়সের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হবে।
একই অটল পেনশন গ্রাহকের মৃত্যুর পরে গ্রাহকের পত্নীকে দেওয়া হবে এবং গ্রাহক এবং পত্নী উভয়ের মৃত্যুতে, গ্রাহকের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত জমা হওয়া পেনশন সম্পদ মনোনীত ব্যক্তিকে ফেরত দেওয়া হবে। পেনশন রিটার্ন গ্রাহকের ৬০ বছর হওয়ার পরে দেওয়া হয়। এর আগে, আগস্ট ২০২২-এ, অর্থ মন্ত্রক তার বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, “প্রদত্ত যে ১ অক্টোবর ২০২২ থেকে, যে কোনও নাগরিক যিনি আয়কর প্রদানকারী হয়েছেন, তারা APY-এ যোগদানের যোগ্য হবেন না।”
একজন করদাতা বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝাবে যিনি সময়ে সময়ে সংশোধিত আয়কর আইন, ১৯৬১ অনুযায়ী আয়কর দিতে দায়বদ্ধ থাকেন। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, “যদি কোনও গ্রাহক, যিনি ১ অক্টোবর ২০২২-এ বা তার পরে যোগদান করেছিলেন, পরবর্তীতে আবেদনের তারিখে বা তার আগে আয়কর প্রদানকারী হিসাবে পাওয়া যায়, তাহলে APY অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হবে। তবে তিনি জেনে হোক বা না জেনে যে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন, তা ফেরৎ পেয়ে যাবেন।”
এক্ষেত্রে করপাস অর্থ ফেরৎ পাওয়া যাবে। অটল পেনশন যোজনা অনুসারে গ্রাহকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে, গ্রাহকের মনোনীত বা সুবিধাভোগী গ্রাহকের দ্বারা বেছে নেওয়া মাসিক পেনশনের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত পেআউট পাবেন। সেক্ষেত্রে মাসিক কন্ট্রিবিউশনের ওপরে ভিত্তি করে টাকা পাওয়া যাবে।
১০০০ টাকা জমার ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, ২০০০ টাকা জমার ক্ষেত্রে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, ৩০০০ টাকা জমার ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, ৪০০০ টাকা জমার ক্ষেত্রে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং ৫০০০ টাকা জমার ক্ষেত্রে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরত পাবেন নমিনি। এমন আরও নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
Written by Joyeeta Mukherjee.
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ | জয়েন করুন |
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপ | জয়েন করুন |
আমাদের ফেসবুক পেজ | ফলো করুন |
google নিউজে ফলো করুন | ফলো করুন |
Post Disclaimers
'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন
১০ হাজার বললেন সেটা কিভাবে বলুন
স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ে মিলে করলে মিলবে এই সুবিধা।