বাড়তি ওজন কমানোর সহজ উপায়, শরীর ও মন থাকবে সুস্থ।

Weight Loss Tips: বাড়তি ওজন নিয়ে বেশ বিচলিত অনেকেই। ইন্টারনেটে যেসব বিষয় নিয়ে মানুষ সব থেকে বেশি খোঁজাখুঁজি করে সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘বাড়তি ওজন কিভাবে কমাবে’। বর্তমানে মোটা হয়ে যাওয়া মানুষের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা। বিখ্যাত গণ মাধ্যম BBC এর মতে ভারত বর্ষে 2016 সালে 135 মিলিয়ন মানুষ ওভারওয়েট কিম্বা মোটা ছিলেন। এবং সংখ্যাটা দ্রুত বাড়ছে।

শরীরের বাড়তি ওজন কি কি সমস্যা তৈরি করতে পারে।

বাড়তি ওজন এর একমাত্র কারণ হলো শরীরে মেদ-বৃদ্ধি। এই মেঘ শরীরে চামড়ার নিচে এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপরেও জমা হতে থাকে সেই সাথে মেয়েদের ছোট ছোট কণা রক্তনালের ভিতর ও সঞ্চারিত হতে থাকে। যাকে মোটা অর্থে কোলেস্টেরল বলে থাকে।

তাই শরীরের মেদ-বৃদ্ধি পেলে বাড়তি ওজন থাকলেই রক্ত জনিত বেশ কিছু রোগ এবং হৃদপিণ্ড সম্পর্কিত সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। বাড়তি ওজন এর কারণে ধীরে ধীরে শরীরে হাই ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, এনজিওপ্লাস্টিক, হার্ট অ্যাটাকের মত মারণব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে।

শরীরের বাড়তি ওজন মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পেলে তাতে জীবন যাপনের মান যেমন কমে যায় তেমনি স্বাভাবিক জীবন যাপনের ক্ষেত্রে সমূহ অসুবিধারও সৃষ্টি হয়। এতে শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি বেশ কিছু দৈহিক ও মানসিক সমস্যার উদয় হয়। ফলে মনের স্বাস্থ্য বা মানসিক সমস্যার উত্থাপন হতে পারে, যেমন আতঙ্ক, নিজেকে উপস্থাপন করতে অসমর্থতা এবং হীনমন্যতা, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

অতএব সুস্থ শারীরিক অবস্থা প্রাপ্তির পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তির কারণেও শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অতি জরুরী। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পরিমিত খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন যাপন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, নিয়মিত যোগাসন ও শরীর চর্চার বিশেষভাবে প্রয়োজন।

তবে অনেক সময় দেখা যায় অক্ষরে-অক্ষরে ডায়েট মেনে চলে, বাড়তি ওজন কমাতে সকাল-বিকাল জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর পরেও ওজন আগের মতই রয়ে গিয়েছে। আসলে ওজন কমাতে হলে খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ যোগব্যায়ামের পাশাপাশি লাইফস্টাইলেও পরিবর্তন আনা বিশেষ জরুরী। আর যারা কম সময়ে দ্রুত মেদ ঝরানোর দিকে ঝুঁকছেন তাদের জন্য সতর্কবার্তা মেদ খুব তাড়াতাড়ি জড়িয়ে ঝরঝরে শরীর তৈরি করলে তা অনেক সময় হার্টের উপরে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

Extra Fat কমাতে সহজ উপায় জেনে রাখা দরকার।

অতএব মূল কথা হলো ওজন বাড়ানো যত সহজ ওজন কমানো ততটাই কঠিন তাই ওজন কমাতে হলে বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা আবশ্যক। নিচে তেমনই কিছু সাধারণ টিপস দেওয়া হলো যা আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্যে বেশ কার্যকরী হতে পারে।

বাড়তি ওজন কমাতে হলে সবার প্রথমে ফাস্টফুড খাওয়া ছাড়তে হবে। আর আপনি যদি এটি করতে পারেন তাহলে সাত দিনের মধ্যেই নিজের চেহারায় পরিবর্তন দেখতে শুরু করবেন। ফাস্টফুড এর মধ্যে যেমন রয়েছে বিরিয়ানি, এগরোল, চিপস, পিৎজা, বার্গার, আইসক্রিম, সোডাযুক্ত পানীয় ইত্যাদি। শত কষ্ট হলেও এইসব খাবারগুলিকে চিরতরে খাদ্য তালিকা থেকে বর্জন করতে হবে। কারণ এই খাবারগুলি কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড আর ওজন বাড়াতে মূল কাজটি করে থাকে।

fat woman and woman lean in comparison on gray background

ফাস্টফুডের পর আপনাকে বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। যেমন পালিশ করা চাল, ময়দা, মিষ্টি জাতীয় খাবার ইত্যাদি। তার পরিবর্তে আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে ফাইবার যুক্ত খাবার প্রোটিন ভিটামিন এবং অবশ্যই ওমেগা থ্রি যুক্ত খাদ্য। বাড়তি ওজন কমাতে টিপস মেনে চলুন।

খাদ্য তালিকায় পরিবর্তনের পর আপনাকে নজর দিতে হবে খাবারের সময়ের দিকে। একবারে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। খিদে পেটে এক থালা ডাল, ভাত, সবজি, মাছ-মাংস না খেয়ে 3 থেকে 4 ঘন্টা অন্তর অল্প-অল্প করে খাবার খান।

খাবারের পাশাপাশি দিনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। বাড়তি ওজন কমাতে, জল শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে কিডনি, লিভার ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকে। জলের পাশাপাশি ইচ্ছে করলে ডাবের জল বা ফলের রস খেতে পারেন। তবে চেষ্টা মেটাতে বাজার জাত সফ্ট ড্রিংকস বা কৃত্রিম ফলের জুস নৈব নৈব চ।

নিজের দেহের বাড়তি ওজন কমাতে সহজ Weight Loss Tips!

পরিমিত খাদ্যগ্রহণ ও সুস্থ খাদ্যাভ্যাসের পর নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। অর্থাৎ বাড়তি ওজন কমাতে খাদ্যের সঙ্গে গ্রহণ করা অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরচর্চার মাধ্যমে ঝরিয়ে ফেলতে হবে। যদি প্রতিদিন সকালে জিমে যাওয়ার মত সময় হাতে না থাকে, তাহলে বাড়ির সামনে জগিং বা রাস্তায় হাত-পা ছড়িয়ে জোরে হাটাহাটি, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানোর মতো শারীরিক কসরতও করা যেতে পারে।

এটিএম কার্ড সহ অনেক নিয়ম বদল, দেখে সতর্ক হোন!

তবে এতকিছু মেনে চলার পরেও ওজন আশানুরূপ নাও কম হতে পারে যদি আপনি প্রচন্ড পরিমানে মানসিক উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তার মধ্যে জীবন কাটান। কারণ দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ স্থূলতার একটি অন্যতম কারণ। তাই বাড়তি ওজন কমাতে হলে সুস্থ খাদ্যাভ্যাস ও যোগব্যায়ামের পাশাপাশি সুস্থ মানসিক অবস্থারও বিশেষ প্রয়োজন। মানসিক চাপ কাটাতে হলে পজিটিভ মেন্টাল অ্যাটিটিউড এর বই, যোগব্যায়াম ইত্যাদি করা যেতে পারে। মানসিক চাপ বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতেও কুণ্ঠা বোধ করবেন না। বাড়তি অজন কমিয়ে নিজেকে সুস্থ রাখুন।

Post Disclaimers

'whatsupbengal.in' একটি বাংলা অনলাইন ব্লগ নিউজ পোর্টাল। এই নিবন্ধে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বড় মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিষয়বস্তু শুধুমাত্র তথ্য ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে।
যোগাযোগ - wspbengal@gmail.com
নম্বর - 6297256750 (হোয়াটসঅ্যাপ)

আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন

*ফেসবুক পেজ - Join Here
*হোয়াটস্যাপ চ্যানেল - Follow Us
*টেলিগ্রাম চ্যানেল - Join Here
*কু অ্যাপ - Like Us
*ট্যুইটার - Follow Us

হ্যালো প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমরা একটি দল হিসেবে কঠোর পরিশ্রম করছি আপনাদের জন্য শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে বিশ্বাসযোগ্য এবং মূল্যবান কন্টেন্ট সরবরাহ করতে। আমরা শিক্ষা, সরকারি স্কিম, সরকারি কর্মচারী, প্রযুক্তি, টেলিকম, দৈনিক আপডেট, আর্থিক বিষয়, ব্যবসার ধারণা, বৃত্তি ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। প্রতিটি ব্লগ পোস্টের জন্য একটি মূল্যবান মন্তব্য করতে ভুলবেন না। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। কোনো প্রয়োজনে আমাদের wspbengal@gmail.com ঠিকানায় লিখুন।

Leave a Comment

Home
চ্যানেল
জয়েন গ্রুপ
ফলো পেজ
নিউজ
চ্যানেল